রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের অবরোধ ছেড়ে ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে এসেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর তারা কলেজের মূল ফটকের সামনে ফিরে এসে মহাখালী-গুলশান সড়কের একপাশ আটকে বিক্ষোভ করেন।
এর আগে বিকেলে টানা চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালান শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রথমে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেন। কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থানের পর আবার কলেজের সামনে ফিরে যান। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গুলশান-১ নম্বর চত্বরে গিয়ে চতুর্মুখী সড়ক অবরোধ করেন, যার ফলে গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী ও তেজগাঁও অঞ্চলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশন করছেন। বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উপায় নয় আপস, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানি না মানব না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলছে এবং তিতুমীর কলেজের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে।
তবে শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আলী আহমদ এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমার কারণে সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল থাকবে।
গত কয়েক দিন ধরে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।