তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তান যাচ্ছেন। আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা এবং প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি করা।
সূত্র জানায়, এরদোগান তার সফরকালে ১০ থেকে ১২ জন মন্ত্রীর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাবেন। সফরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-তুরস্ক উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদের (এইচএলএসসিসি) সপ্তম বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সফরটি পাকিস্তান ও তুরস্কের সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে এবং সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এরদোগানের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, তুরস্কের আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে আফগানিস্তান সীমান্ত এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায়, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন দিক থেকে এগিয়ে নিতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রেসিডেন্ট এরদোগান আফগান তালেবান সরকারের নারীদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে ‘অনৈসলামিক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং তুরস্কের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইসলামে নারীদের শিক্ষার কোনো বাধা নেই এবং তালেবান কর্তৃক এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ইসলামের মূলনীতির পরিপন্থী।