শীতের শুষ্ক ও রুক্ষ আবহাওয়া ত্বককে নিষ্প্রাণ, রুক্ষ এবং ফ্যাকাসে করে তোলে। অনেক সময় ত্বকে চুলকানি ও শুষ্ক দাগও দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে প্রসাধনী ব্যবহার করা হলেও তা অনেক সময় ব্যয়বহুল ও ক্ষতিকর হতে পারে। তবে প্রকৃতির দান হিসেবে পাওয়া কিছু পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলেই ত্বক থাকবে সুস্থ, মসৃণ ও উজ্জ্বল।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ৫ কার্যকরী খাবার:
ব্রোকলি হলো একটি ক্রুসিফেরাস সবজি, যা ভিটামিন এ ও সি-তে ভরপুর। ব্রোকলি খেলে কোলাজেন উৎপাদন ত্বরান্বিত হয় এবং ত্বকের শুষ্ক দাগ কমায়। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
মিষ্টি আলু হলো বিটা ক্যারোটিনের সমৃদ্ধ একটি উৎস। এটি পুরাতন কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ রাখে। যারা শর্করা এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্যও এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
পালং শাক শুধু আয়রনের নয়, ভিটামিন এ এবং সি-এরও একটি দারুণ উৎস। এই ভিটামিনগুলো ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বকের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
গাজর বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বককে রোদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। শীতকালে নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর থাকে।
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে পানির অভাব একটি সাধারণ কারণ। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
উপসংহার:
ত্বক সুন্দর রাখতে প্রসাধনীর উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, পালং শাক ও গাজরের মতো পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন। শীতকালেও ত্বক থাকবে মসৃণ, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর।