যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের জবাবে এবার পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে মেক্সিকো ও চীন। এর আগে কানাডাও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা দেন যে, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই শুল্ক আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বলেন,
“যতক্ষণ না কানাডা ও মেক্সিকো মাদক পাচার, বিশেষ করে ফেন্টানিল এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে।”
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
✔ ৩০ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
✔ বাকি ১২৫ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, “শুল্ক আরোপ করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না, আলোচনার মাধ্যমেই এটি সমাধান করা উচিত।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি আরও বলেন,
“মেক্সিকোর স্বার্থ রক্ষায় অর্থমন্ত্রীকে ‘প্লান বি’ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার দেশের নেতাদের ৪ ফেব্রুয়ারির আগেই একটি সমঝোতায় পৌঁছানো উচিত, কারণ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
ট্রাম্প প্রশাসন কানাডা ও মেক্সিকোর পাশাপাশি চীনের আমদানিকৃত পণ্যের ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং জানিয়েছে,
✔ যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা শুল্ক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
✔ চীন WTO-তে এর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করবে।
✔ যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে চীন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন অর্থনীতি, গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নেওয়া এই পদক্ষেপে ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।