বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে। তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজাম অনুসারী মাওলানা জুবায়েরের নেতৃত্বে এবারের প্রথম পর্বের আয়োজন। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব মুরব্বিদের পরামর্শের মাধ্যমে বয়ান ও আমলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হকের আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এই ইজতেমার প্রথম পর্ব। এর পর বাদ আসর ও বাদ মাগরিব যথাক্রমে বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক ও ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা বয়ান করবেন।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক বাদ ফজরে বয়ান করবেন। এরপর ভারতীয় মাওলানা জামাল সকাল ১০টায় তালিমের মোজাকারা করবেন। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব, বাদ আছর বয়ান করবেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের এবং বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট।
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদ বাদ ফজরে বয়ান করবেন, তারপর ভারতীয় মাওলানা ইসমাঈল গুধরা বাদ জোহরে ও মাওলানা জুহাইরুল হাসান বাদ আসরে বয়ান করবেন। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা।
শেষ দিনে, রোববার, ২ ফেব্রুয়ারি, ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের হেদায়াতি বয়ানের পর বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন। এবারের ইজতেমা তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার প্রথম দুটি পর্বে শুরায়ি নেজাম বা জুবায়েরপন্থিরা এবং তৃতীয় পর্বে সাদপন্থিরা অংশগ্রহণ করবেন।