ইসরাইল ও হামাসের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া চলছে। মোট ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৪ ইসরাইলি নারী সেনাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রসের মাধ্যমে এই বিনিময় কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
শনিবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত ৪ নারী সেনা বর্তমানে আইডিএফের বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে ইসরাইলে ফিরছেন। সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরাইলি নারী সেনারা:
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা সীমান্তের নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে এই ৪ সেনাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় তারা মুক্তি পান।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: অন্যদিকে, ইসরাইলের দুটি কারাগার থেকে দুই ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হলে গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী সরে যাবে, যার ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট: মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর সম্প্রতি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এর আগে, প্রথম দফায় ১১০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস, যার বদলে ইসরাইল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
চুক্তি অনুযায়ী ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত করার বিনিময়ে ইসরাইল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্ত করবে।